ভ্যাকসিন দেওয়ার নিয়মঃ
2020-03-12
গবাদি প্রাণীকে রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে মুক্ত রাখতে হলে কিছু বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে । যেমন কৃমি মুক্ত রাখা,ভাল বাসস্থান, সুষম খাবার, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ইত্যাদি ।
গবাদি প্রাণীর অনেক রোগ আছে এগুলো আক্রমণ করলে চিকিৎসায় অনেক সময় ভাল সুফল পাওয়া যায় না বা চিকিৎসার আগেই প্রাণী মারা যায়।
এ রোগ গুলোকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে সহজেই দমন করা যায় ।খামারি একটু সচেতন হয়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করলে খামারি যেমন লাভবান হবেন তেমনি প্রাণী গুলোও সুস্থ থাকবে এবং খামারের উৎপাদন বাড়বে।
যে রোগ গুলো গবাদি প্রাণীর সবচেয়ে বেশি হয় এবং শুধুমাত্র ভ্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যায় সেগুলো হল-
তড়কা,বাদলা, গলাফুলা,গোবসন্ত,ক্ষুরারোগ,জলাতঙ্ক।
১)টিকার নামঃ এন্থ্রাক্স বা তড়কা টিকা
রোগের নামঃ তড়কা
প্রদাহের স্থানঃ ঘাড়ের চামড়ার নিচে
মাত্রাঃগরু- ১সিসি
বাছুরগরু ও ছাগল- ১/২সিসি
ইমুউনিটিঃ ১ বৎসর। প্রথম বার ভ্যাকসিন দেবার পর বছরে ১ বার করে দিতে হবে ।
সতর্কতাঃ ৬ মাস বয়সের বেশি প্রাণীকে দেয়া যাবে এবং ৭ মাসের বেশি গর্ভবতী প্রাণীতে দেয়া যাবে না ।
২)টিকার নামঃ বাদলা টিকা
রোগের নামঃ বাদলা
প্রদাহের স্থানঃ চামড়ার নিচে
মাত্রাঃ ৫ সিসি
ইমুউনিটিঃ ৬ মাস
সতর্কতাঃ ৪ মাস বয়সের বাছুর থেকে ২.৫ মাস বয়সের গরুকে দিতে হবে। প্রাপ্ত বয়স্ক প্রাণীকে দেবার দরকার নাই ।
৩) টিকার নামঃ গলাফুলা
রোগের নামঃ গলাফুলা
প্রদাহের স্থানঃ চামড়ার নিচে
মাত্রাঃ ২সিসি
ইমুউনিটিঃ ১ বৎসর
সতর্কতাঃ ৬ মাসের উপরের গর্ভবতী গাভীকে দেওয়া যাবে না এবং প্রথম টিকা দেয়ার পর ২-৪ সপ্তাহ পর আর একটি সমপরিমান ডোজ দিতে হবে।
৪) টিকার নামঃ ক্ষুরা রোগ টিকা বা এফ. এম. ডি টিকা
রোগের নামঃ ক্ষুরা রোগ
প্রদাহের স্থানঃ চামড়ার নিচে মাত্রাঃ মনোভ্যালেনটঃ ৩ সিসি
বাইভ্যালেনটঃ ৬ সিসি
ট্রাইভ্যালেনটঃ ৯ সিসি
ইমুউনিটিঃ ৬ মাস
সতর্কতাঃ ৪ মাস বয়স থেকে শুরু করে যে কোন বয়সের প্রাণীকে এমনকি গর্ভবতী গাভীকে দেওয়া যাবে।