ভ্যাকসিন দেয়ার আগে ভ্যাকসিন প্রদানকারীর যা জানা খুবই প্রয়োজনীয়ঃ
2020-03-05
ভ্যাকসিন দেয়ার উদ্দেশ্য হল প্রাণীকে রোগের হাত থেকে রক্ষা করা কিন্তু অনেক সময় ভ্যাকসিন দিয়ে রোগের প্রকোপ কমানো যায় না, বরং রোগ প্রতিরোধ করার পূর্বেই অনেক দুর্ঘটনা ঘটে । ভ্যাকসিন দেয়ার পরপরই প্রচণ্ড ব্যাথা, লালাঝরা, অস্থিরতাসহ বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এমনকি প্রাণীর মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য ভ্যাকসিন প্রদানকারীকে অবশ্যই কিছু বিষয় মেনে চলা উচিতঃ
১। ভ্যাকসিন এর কার্যকারিতার মেয়াদকাল অবশ্যই দেখে নিতে হবে, অর্থাৎ ভ্যাকসিন এর মেয়াদউত্তীর্নের তারিখ নিশ্চিত হতে হবে।
২। ব্যবহারের পূর্ব পর্যন্ত ভ্যাকসিনকে কুল বক্স বা ফ্লাক্সে রাখতে হবে।
৩। ব্যবহারের আগে ভ্যাকসিনের বোতল ভালভাবে ঝাঁকাতে হবে যাতে ভ্যাকসিন সমভাবে মিশে যায়।
৪। সরাসরি সূর্যকিরণ থেকে টিকার বোতল দূরে রাখতে হবে।
৫। বোতল খোলার ১ ঘণ্টার মধ্যে ভ্যাকসিন প্রদান শেষ করতে হবে।
৬। ভ্যাকসিন সাধারনত ভোরে দেয়া উত্তম।
৭। ভ্যাকসিন কোন ছায়াযুক্ত বা গাছের নিচে দেয়া ভাল।
৮। টীকা অবশ্যই সুস্থ সবল প্রাণীকে দিতে হবে।
৯। যেসব টীকা চামড়ার নীচে দিতে হয় তা যেন মাংসপেশিতে না যায় খেয়াল রাখতে হবে।
১০। অসুস্থ প্রাণীকে টীকা দেয়া যাবেনা।
১১। ব্যবহারের পর ভ্যাকসিনের ভায়াল ভেঙ্গে ফেলা যাবেনা, মাটিতে পুতে ফেলতে হবে।
টীকা কাজ না করার কারনসমূহঃ
১। পরিবহনের সময় যদি ভ্যাকসিনের সঠিক তাপমাত্রা সংরক্ষন করা না হয় ।
২। অসুস্থ প্রানিকে টীকা দেয়া হলে, কারন অসুস্থ প্রাণীকে টীকা দিলে তার দেহে সঠিক মাত্রায় এন্টিবডি তৈরি হয়না।
৩। ভাইরাসের আভ্যন্তরীণ চরিত্র (DNA) পরিবর্তন হলে তখন পুরাতন টীকা কাজ করেনা।
৪। যে ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য টীকা দেয়া হয় তা না হয়ে যদি অন্য ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়।
৫। টীকার গুনগত মান যদি ভাল না হয় অর্থাৎ উৎপাদনের সময় যদি গুনগত মান রক্ষা না হয়।
৬। ভ্যাকসিন যদি সঠিক মাত্রায় দেয়া না হয় তখন সব ঠিক থাকলেও টীকা কোন কাজ করবেনা।