গাভীর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির উপায়ঃ
2020-02-26
১। গাভীর দুধ উৎপাদনে খাবার পানির ভূমিকাঃ
গাভী পালনের অন্যতম উদ্দেশ্য দুধ উৎপাদন। দুধ এ ৮০ ভাগের বেশি পানি থাকে। বাকি ১২.৫ ভাগ ফ্যাট নয় এমন শক্ত পদার্থ যেমনঃ ভিটামিন, মিনারেল ইত্যাদি। অবশিষ্টাংশ ফ্যাট। এক লিটার দুধ উৎপাদনের জন্য গাভীর প্রায় চার লিটার পানির প্রয়োজন হয় ।অথচ অধিকাংশ সময় গাভী কে পর্যাপ্ত পানি দেয়া হয় না। যেমন রাতের বেলায় পিপাসা লাগলে ও গাভী পানি পান করতে পারে না। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে গাভী কে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি দিলে দুধ এর উৎপাদন প্রায় ২০ শতাংশ বেড়ে যায়। তাই গাভী যেন প্রয়োজন মত পানি পান করতে পারে সে জন্য চব্বিশ ঘণ্টা পানির পাত্রে পানি রাখতে হবে।
২। গাভীর দুধ উৎপাদন এ খাবারের ভুমিকাঃ
প্রচলিত ধারণা হচ্ছে গাভী কে বেশি খাবার দিলে দুধ উৎপাদন বেশি হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষম পুষ্টিকর খাবার গাভীর শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রম পরিচালনার এবং দুধ উৎপাদনের জন্য অপরিহার্য কিন্তু অতিরিক্ত খাবার কখনই নয়। বরং এতে হিতে বিপরীত হয়। খাবার হজমের জন্য পাকস্থলীর রাসায়নিক পরিবেশ হচ্ছে ক্ষারীয়। গাভী যত বেশি জাবর কাটবে খাবারের সাথে বেশি লালা মিশ্রিত হবে এতে খাবার বেশি হজম হবে। গাভী জাবর কাটার সময় না পেলে খাবার হজম হবে না আর এ কারণে পুষ্টি ও কম পাবে। আর পুষ্টি কম পেলে দুধ উৎপাদন ও কমে আসব। তাই খাবার হজমের জন্য গাভী কে কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা জাবর কাটার সময় দিতে হবে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর আর কোন খাবার দেয়া ঠিক হবে না।
৩। গাভীর দুধ উৎপাদন এ ক্যালসিয়াম এর ভূমিকাঃ
গাভীকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপকরণ সরবরাহ করতে হবে। প্রতি লিটার দুধ এ প্রায় ১.২ গ্রাম ক্যালসিয়াম থাকার কারণে গাভীর দুধ উৎপাদন এর জন্য বেশি পরিমাণ ক্যালসিয়াম প্রয়োজন হয়। খাবারের সাথে ক্যালসিয়াম সরবরাহ না করলে গাভী হাড় থেকে ক্যালসিয়াম ব্যবহার করে থাকে। এতে হাড়ে ক্যালসিয়াম এর ঘাটতি দেখা দিলে গাভী দুর্বল ও অসুস্থ হয়ে পড়ে। দুধ উৎপাদন ও কমে যায়।
আরও বিস্তারিত জানতে এবং গরুর ডিজিটাল খামার গড়তে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের লিংকেঃ
<a href="pranisheba.com.bd">adorsho praniSheba</a>