লাভজনক ডেইরি খামার করতে চাইলে খামারিদের কিছু জিনিসের প্রতি অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবেঃ
2020-02-23
১। খামারের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাঃ
গবাদি প্রানী পালনের জন্য প্রয়োজন খামারের নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা। গবাদি প্রাণির খাদ্য ও পানির পাত্র নিয়মিত পরিষ্কার করার পাশাপাশি পশুর মলমূত্র ভালোভাবে পরিষ্কার করে গর্তে রাখতে হবে। অসূস্থ প্রানীকে সুস্থ প্রানী থেকে আলাদা রাখতে হবে এবং প্রসূতি গাভীর প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। গাভীর বাচ্চা প্রসবের পর সমস্ত খড়কুটো,খাদ্য,মলমূত্র পরিষ্কার করে নির্বীজক পদার্থ দিয়ে জীবানূমুক্ত করতে হবে। সমস্ত খামারকে ভালোমানের জীবানূনাশক স্প্রে দিয়ে জীবানূমুক্ত করতে হবে।
২।জীবানূর বাহকঃ
ডেইরি ফার্মে দর্শনার্থীদের প্রবেশ সীমাবদ্ধ করতে হবে কারন তারা জীবানূর বাহক হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারে। আর যারা খামারে কাজ করেন তাদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, যেমন খামারে প্রবেশ করার আগে তাদের জুতা বা বুট ভালোভাবে পরিষ্কার করে এবং জীবানুনাশক পদার্থে ডুবাতে হবে। খামারে জীবানু দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে ও ছড়াতে পারে। এক খামার থেকে অন্য খামারে বন্য পাখি, ইদুর বা কুকুরের মাধ্যমেও রোগ জীবানু ছড়াতে পারে।
৩। নতুন প্রানী ক্রয় করার আগে করণীয়ঃ
খামারে বাহির থেকে কোন গবাদি প্রাণী সরাসরি অন্য খামারে প্রবেশ করানো অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ। নতুন প্রাণী ক্রয় করার ত্রিশ দিন পর্যন্ত খামারের অন্য প্রাণী থেকে আলাদা রাখতে হবে এবং ভেটেরিনারিয়ান দ্বারা ভালোভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর খামারে ছাড়তে হবে। বিশেষ করে গাভীর ক্ষেত্রে ম্যাসটাইটিস, জরায়ু প্রদাহ ও অন্যান্য প্রজনন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ক্রয় করা উচিত।
এছাড়া গাভীর ওলান ও বাট গরম, শক্ত বা কোন ক্ষত ও সংক্রমণ আছে কিনা পালপেশন করে পরীক্ষা করতে হবে। দুগ্ধবতী গাভীর ক্ষেত্রে দুধের নমুনা গবেষণাগারে ব্যাকট্রিওলজিক্যাল পরীক্ষা করতে হবে। আর ষাড়ঁ গরুর ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রজনন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
৪। ব্যায়ামঃ
গাভীকে প্রত্যহ বাহিরে নিয়ে ব্যায়াম করানো উচিত এতে যেমন গাভীর খাবারের রূচি বাড়ে তেমনি গরম হওয়া গাভীকে সহজে সনাক্ত করা সহজ হয়।
৫। খামারের মাছি দমনঃ
মাছির বংশ বিস্তার রোধ করার জন্য খামার সবসময়ই পরিস্কার রাখতে হবে। এজন্য মল্মুত্রের স্তুপ, নর্দমাহীন জায়গা , সাইলেজ ঘাশের গাদা , ময়লাযুক্ত খাবার ও পানির পাত্র সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। পায়েরিথ্রিন ০.১% স্প্রে ব্যবহার করেও মাছি দমন করা যায়।
৬। গরুর অসূস্থতা পরীক্ষাঃ
নিচের বৈশিষ্ঠ্য গুলো দেখে গরুর অসূস্থতা বোঝা যায়ঃ
১।দুধের উৎপাদন কমা
২।অমসৃন লোম
৩।রুমিনেশন কমে যাওয়া
৪।দেহের তাপ বৃদ্ধি
৫।ক্ষুধামন্দা
৬।শুষ্ক মুখবন্ধনী
৭।ভেটেরিনারিয়ানকে কখন ডাকবেনঃ
১।সংক্রামক রোগ দেখা দিলে
২।মিল্ক ফিভার হলে
৩।গাভী খাওয়া বন্ধ করলে
৪।কষ্টদায়ক বা অস্বাভাবিক বাচ্চা প্রসব
৫।গাভীর গর্ভাবস্থা নির্ণয় ও প্রজনন সমস্যা নির্ণয়
৬।গর্ভফুল আটকে গেলে
৭।তীব্র আঘাত বা ক্ষত হলে